পেটের দায়ে এভাবে "হাতুড়ি" হাতে নিয়েছে ১৫ বছর বয়সী আব্দুল।যে সময় বন্ধুদের সাথে খেলা করার কথা,দিক-বিদিক ছুটে বেড়ানোর কথা সে সময় মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ হয়ে এলো "করোনা"। বাবার অসুস্থতায় নিজেকে সংসারের হাল ধরতে হলো।
যেখানে তার সহপাঠীরা অনলাইনে ক্লাস করছে, সেখানে অভাবের সংসারে একটা স্মার্ট ফোনের কথা ভাবা টা বিলাসিতা। দারিদ্রতা আর করোনার প্রভাবে সংগ্রাম করে এভাবে বাঁচতে হচ্ছে হাতিয়া দ্বীপের এমন অসংখ্যা আব্দুলের।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইউনিসেফের নতুন এক প্রতিবেদনে, বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১৬ কোটিতে পৌঁছেছে। যা গত চার বছরে বেড়েছে ৮৪ লাখ।
কোভিড-১৯-এর প্রভাবের কারণে আরো কয়েক লাখ শিশু ঝুঁকিতে রয়েছে। মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী অতিরিক্ত ৯০ লাখ শিশু ঝুঁকির মুখে বলে সতর্ক করেছে আইএলও ও ইউনিসেফ।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিষয়ে বলা হয়, মহামারির মধ্যে গত মার্চ ২০২০ থেকে স্কুল বন্ধ থাকা এবং দারিদ্র্য বৃদ্ধি অনেক শিশুকে শিশুশ্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা নিয়ে ইউনিসেফ উদ্বিগ্ন।
শিশু শ্রম বন্ধে নানান আইন এবং পদক্ষেপ থাকলেও প্রতিনিয়ত শিশু শ্রমের হার বেড়েই চলেছে। আর এই করোনাকালে তা আরও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই শিশু শ্রমের শেকল থেকে মুক্তি পেয়ে শৈশব জীবনের নির্মল মুহূর্ত খুঁজে পাবার প্রহর গুনছে অসংখ্য শিশু।
- লেখক
কথাবন্ধু, রেডিও সাগরদ্বীপ ৯৯.২ এফ. এম